
দ্য ওয়াল ব্যুরো : তামিলনাড়ুতে ভোট হবে আগামী মে মাসে। রবিবারই সেখানে ভোটের প্রচার শুরু করলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। রাজ্যে শাসক এডিএমকে-র সহযোগী বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করলেন, তাঁরা তামিল ভাষা ও সংস্কৃতিকে অপমান করেছেন। নোটবন্দি ও জিএসটি চালু করে তাঁরা তামিলনাড়ুর মানুষকে আর্থিক সংকটে ফেলেছেন।
এদিন সকালে তামিলনাড়ুর পশ্চিমে ইরোদ জেলায় সভা করেন রাহুল। ওই জেলাটি এডিএমকে-র শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত। রাহুল সেই সভায় বলেন, “তামিল ভাষা ও সংস্কৃতিকে সম্মান করে না কেন্দ্রীয় সরকার। বিজেপি বা নরেন্দ্র মোদীকে আমরা তামিলনাড়ুর মানুষকে অপমান করতে দেব না।”
পরে তিনি বলেন, “নোটবন্দি, জিএসটি ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ফলে তামিলনাড়ুর মানুষের অনেক ক্ষতি হয়েছে। মাত্র পাঁচ-ছ’জন ব্যবসায়ী দেশকে নিয়ন্ত্রণ করছেন। তাঁরা ভাবছেন, তামিলনাড়ুর মানুষকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। তাঁরা ঠিক ভাবছেন না।”
১৯৯১ সালের মে মাসে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরামবুদুরে রাহুলের বাবা তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী এলটিটিই-র মানববোমায় নিহত হন। রাহুল সেকথা উল্লেখ করে বলেন, এই রাজ্যের সঙ্গে আমাদের পরিবারের যোগ আছে। তামিলনাড়ুর মানুষকে কেউ ঠকাতে পারবে না।
তাঁর কথায়, “আমি জানি, তামিলনাড়ুর মানুষ আমার ঠাকুমা ও বাবাকে সম্মান করেন। আমি আপনাদের সমস্যার কথা শুনতে এসেছি। সেই সমস্যার সমাধান করতে চেষ্টা করব। আমি তামিল সংস্কৃতিকে সম্মান করি। তা থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।”
গত শনিবার রাহুল কোয়েম্বাটুরে আসেন। তিনি বলেন, “তামিলনাড়ুতে নতুন সরকার গঠিত হওয়া প্রয়োজন। সেজন্য আমি আপনাদের সঙ্গে কাজ করব। আগামী দিনে এমন সরকার গঠিত হবে যে, আপনারা গর্ব অনুভব করবেন।” কোয়েম্বাটুরে চারটি স্পেশাল ইকনমিক জোন আছে। শহরের বয়নশিল্প খুব বিখ্যাত। শনিবার রাহুল কোয়েম্বাটুরের শিল্পমহলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের তিনি বলেন, বর্তমান করব্যবস্থা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ক্ষতি করেছে।
তামিলনাড়ুর দুই শীর্ষস্থানীয় নেতা জে জয়ললিতা এবং এম করুণানিধির মৃত্যুর পরে প্রথমবার ভোট হচ্ছে ওই রাজ্যে। দুই নেতানেত্রীর অনুপস্থিতিতে সেখানে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক শূন্যতা। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৩৯ টি আসনের মধ্যে ৩৮ টি পায় ডিএমকে-কংগ্রেস জোট। একটি সূত্রে খবর, বিহারে খারাপ ফলের পরে যে কোনও শর্তে ডিএমকে-র সঙ্গে জোট বজায় রাখতে চায় কংগ্রেস। তারা প্রয়োজনে আগের চেয়ে কম আসনে লড়াই করতে রাজি।